স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এবং সহযোগিতায় আমেরিকা, জাপান, চায়না, তিয়ান-ই এবং রক্ষণাবেক্ষণ এ দক্ষিণ কোরিয়া।
স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। এটি বাংলাদেশের দুই প্রান্তের সংযোগ স্থান- মাওয়া (লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ) এবং জাজিরা (শরীয়তপুর । এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির জন্য মানুষের জীবনে এক নতুন দিক উত্তেজিত করবে।
স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাংলাদেশ
- ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ৪ জুলাই ২০০১।
- নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয় ১২ ডিসেম্বর ২০১৫। । দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৬.১৫ কিমি ও ১৮.১০ মি।
- স্প্যাম ও পিলার সংখ্যা যথাক্রমে- ৪১টি ও ৪২টি।
- নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠাদের নাম- চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি. (চীন)।
- প্রথম স্প্যান বসানো হয় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৩৭ ও ৩৮ নং পিলারে)।
- ৪১তম বা শেষ স্প্যান বসানো হয়- ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (১২ ও ১৩ নং পিলারে)।
- পদ্মাসেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর।
- প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য- ১৫০ মিটার।
- পদ্মাসেতুর পাইল -২৯৪ টি।
- পদ্মাসেতুর ডিজাইনার প্রতিষ্ঠান- AECOM (যুক্তরাষ্ট্র)।
- বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস ও গভীরতম পাইলের (সর্বোচ্চ ১২২ মিটার) সেতু-পদ্মা সেতু।
- সমীক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান-JICA (জাপান)।
- দুই প্রান্তের সংযোগ স্থান- মাওয়া (লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ) এবং জাজিরা (শরীয়তপুর)।
- রিখটার স্কেলে পদ্মা সেতুর ভূমিকম্প সহনীয় মাত্রা-৯।
- পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রভাবে দেশের GDP এর হার বৃদ্ধি পাবে-১.২৩%।
- পদ্মাসেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্বে আছে-
- কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (KEC), দক্ষিণ কোরিয়া।
- পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হয় ২৫ জুন ২০২২।
- যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয় ২৬ জুন ২০২২।
- ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নির্মিত ২য় দীর্ঘতম সেতু- পদ্মা সেতু। ।
- নদী শাসন করা প্রতিষ্ঠানের নাম- সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন (চীন)।
- "স্প্যান বসানোর জন্য ক্রেনবাহী যে জাহাজটি আনা হয় তিয়ান-ই (Tian-E)।
- সংযোগ সড়কসহ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩০ কিমি।
- নদীর পানি থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা- ১৮ মিটার (প্রায়)।
- নির্মাণের উপাদান কংক্রিট ও স্টিল।
- বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস (Truss) ও গভীরতম পাইলের সেতু পদ্মা সেতু।
- পদ্মা সেতু দিয়ে পার হওয়া প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ও তাঁর বহরের গাড়ির জন্য টোল প্রদান করেন- ১৬,০০০ টাকা।
- সেতুর নিরাপত্তায় প্রতিষ্ঠিত সেনানিবাস- শেখ রাসেল সেনানিবাস (জাজিরা, শরীয়তপুর)।
Post a Comment
0Comments