কমনওয়েলথ ফেলোশিপ সাধারণত যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য দেওয়া হয়। এই ফেলোশিপের আওতায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ভাতা, যাতায়াত খরচ, টিউশন ফি, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। আপনি কি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য চান?
বিস্তারিত তথ্য পেতে সম্পূর্ণ পড়ুন:
কমনওয়েলথ ফেলোশিপের সুযোগ-সুবিধা :
1. মাসিক ভাতা: শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের খরচ মেটানোর জন্য একটি মাসিক ভাতা পান। আপনার উল্লেখিত ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার ভাতা এই ভাতার অংশ।
2. টিউশন ফি: ফেলোশিপের আওতায় থাকা সকল প্রকার টিউশন ফি কমনওয়েলথ বহন করে।
3. আবাসন সুবিধা: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
4. যাতায়াত খরচ: ফেলোশিপ গ্রহণের সময় একবার আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত থাকে (যুক্তরাজ্যে যাওয়া ও নিজ দেশে আসার উড়োজাহাজ টিকিট)।
5. থিসিস অনুদান: গবেষণা থিসিস সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা করে।
6. ভ্রমণ অনুদান: শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সম্মেলন ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত ভ্রমণ অনুদান দেওয়া হয়।
7. অন্যান্য সুবিধা: কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোর্সের প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়।
কমনওয়েলথ ফেলোশিপের জন্য আবেদন যোগ্যতা:
সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু শর্তের উপর নির্ভর করে
1. নাগরিকত্ব: কমনওয়েলথ দেশের নাগরিক হতে হবে।
2. শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীকে সাধারণত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে
পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
3. ভাষাগত দক্ষতা: ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা থাকতে হবে।
4. পূর্ব অভিজ্ঞতা: ফেলোশিপের জন্য প্রার্থীদের পূর্ব অভিজ্ঞতা বা কাজের ফুল টাইম ও পার্ট টাইম মিলে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
5. স্বাস্থ্য: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হতে পারে।
6. সুপারিশপত্র:
প্রার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বা কাজের জায়গার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুপারিশপত্র ।
কমনওয়েলথ ফেলোশিপের জন্য আবেদন করার সময় সাধারণত ২-৩টি সুপারিশপত্র জমা দিতে হয়।
7.উদ্দেশ্যপত্র (Statement of Purpose):
- প্রার্থীর পড়াশোনার উদ্দেশ্য, গবেষণা পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্যের উপর একটি বিশদ বিবরণ জমা দিতে হয়।
- কিভাবে কমনওয়েলথ ফেলোশিপ প্রার্থীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে তা উল্লেখ করতে হয়।
8. প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
- শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ও মার্কশীট
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ:
কমনওয়েলথ ফেলোশিপের জন্য অনলাইন আবেদন করতে ক্লিক করুন। ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
আবেদন ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করুন scan করে :
আপনার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, মার্কশীট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট, সুপারিশপত্র, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন।ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র (যদি প্রয়োজন হয়) জমা দিন।
আবেদন জমা:
সমস্ত তথ্য এবং নথিপত্র সঠিকভাবে পূরণ ও আপলোড করার পর আবেদন ফর্ম সাবমিট করুন। সাবমিট করার পর একটি কনফার্মেশন ইমেল পাবেন।
ফলোআপ:
আবেদন জমা দেওয়ার পর মাঝে মাঝে ইমেল চেক করুন এবং কমনওয়েলথ ফেলোশিপের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
ফলাফল:
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের ইমেল বা পোষ্টাল ঠিকানায় ফলাফল পাঠানো হবে।
Post a Comment
0Comments